প্রাসঙ্গিক
তথ্য চারায় সেচ প্রদান করতে হলে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা, চারা রোপণের নকশা এবং গাছের পানির চাহিদা, গাছের বৃদ্ধি পর্যায় ইত্যাদি বিবেচনা করে সেচ প্রদান করতে হয় । সেচের পানি বেশি হলে বা অত্যধিক বৃষ্টি পড়ে পানি জমার সম্ভাবনা থাকলে চারার গোড়া হতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
১। ফলের বাগান
২। সেচ যন্ত্রপাতি (পাওয়ার পাম্প, গভীর বা অগভীর পাম্প, ঝরনা, পানি সরবরাহের পাইপ ইত্যাদি)
৩ । মাপ ফিতা
৪ । কোদাল, সুতলি, খুঁটি ইত্যাদি ।
কাজের ধাপ
১। স্থায়ী বড় ফল বাগানের জন্য দুই সারির মাঝখানে নালা তৈরি করতে হবে ।
২। গাছের গোড়ায় থালার মত করে নিয়ে নালার মাঝে সংযোগ তৈরি করে পানি দিতে হবে। এতে পানির অপচয় কম হবে ।
৩। ছোট ছোট ফল গাছের জন্য প্রতি দুই সারি পর পর নালা তৈরি করতে হবে। গাছের দুসারিকে বেডের মত করে বেডের মাঝখান দিয়ে সেচ দিতে হবে । মাঝখানের নালায় পানি ভর্তি করে ২/৩ ঘন্টা রেখে দিলে সমস্ত জমি ভিজে যাবে ।
৪ । চারা রোপণ উপযোগী হলে আসতে আসতে সেচ কমাতে হবে। এতে চারা রোপণজনিত আঘাত সহ্য করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে । তবে চারা রোপণের পূর্বে নার্সারিতে থাকা অবস্থায় ঝরনার সাহায্যে সেচ দিতে হবে । চারার অবস্থা ভেদে ও আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে সকাল বিকাল পানি সেচ দিতে হবে ।
৫ । চারা লাগানোর সময়, গাছের বড় বাড়তি ও ফুল ফোটার সময়, ফল ধরার সময় হতে ফল বড় হওয়ার সময় কালে সেচ দিতে হবে। সেচের সঠিক সময় নিরূপণের জন্য মাঠে গিয়ে গাছের শিকড়ের গভীরতার তিনভাগের দুইভাগ গভীর থেকে মাটি সংগ্রহ করতে হবে । সংগৃহীত মাটিতে চাপা দিয়ে বল করা না গেলে বা বল করার পর প্রায় ১ মিটার উপর হতে নিচে ফেলে দিলে সহজেই ভেঙে গেলে সেচ দিতে হবে ।
৬। বিকালে পানি দিতে হবে। তাতে বাষ্পীভবন কম হবে এবং পানির অপচয় কম হবে।
৭ । পানির প্রবাহ বা নিষ্কাশনের সুবিধার জন্য জমির উঁচু দিক থেকে ঢালের দিকে নালা করতে হবে । প্রয়োজনে এর সাথে গাছের গোড়ায় ছোট ছোট বেসিন বা থালাগুলো এবং নিচু ও অসমতল স্থানের সাথে নালা যুক্ত করা যেতে পারে ।
৮। বাগানে গাছের আকৃতি ছোট হলে ফোয়ারা পদ্ধতিতে সেচ দেয়া যেতে পারে ।
৯ । পাছে ফুল অবস্থায় ফোয়ারা সেচ দিলে পরাগায়নের অসুবিধা হতে পারে । ফুল অবস্থার ফোয়ারা সেচ দেয়া যাবে না।
১০। বৃষ্টির পানি যাতে গাছের গাড়ার দাঁড়াতে না পারে সেজন্য নিকাশ নালা তৈরি করতে হবে ।
Read more